রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা রাষ্ট্রীয়সঙ্গীতের স্বরুপ উন্মোচন

মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত রচনা করেছেন তা হল ‘জনগনমন’। এই গানটি তিনি ব্রিটিশ শাসক জর্জ পঞ্চমকে উদ্দেশ্য করে রচনা করেছিলেন। এবং তিনি এই গানে ব্রিটিশ শাসক জর্জ পঞ্চমকে ‘ভারত ভাগ্যবিধাতা’ বলে অভিহিত করেছেন। সুতরাং একথায় রবীন্দ্রানাথ ঠাকু্র এই রাষ্ট্রীয় সঙ্গীতে ব্রিটিশদের চাটুকারীতাই বর্ননা করেছেন। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রথম শ্রেণীর ইংরেজদের দালাল বা পদলেহী সাহিত্যিক। কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ‘জনগনমন’ গানটিতে জর্জ পঞ্চমকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন,

“জনগনমন অধিনায়ক জয় হে ভারত ভাগ্যবিধাতা”
অর্থাৎ হে ভারতের অধিনায়ক জর্জ পঞ্চম তোমার জয় হোক । তুমিই ভারতের ভাগ্যবিধাতা।

এইভাবে পুরো গানটাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জর্জ পঞ্চমের জয়গান গেয়েই সমাপ্ত করেছেন। একথায় ইংরেজদের জয়গান গেয়ে গানটি রচনা করেছেন।

এই গানটি রচনা করার পর জর্জ পঞ্চম যখন এই গানটি শুনলেন তখন তিনি এর অর্থ বুঝতে পারেননি ফলে তিনি এই গানটিকে ইংরেজি অনুবাদ করিয়ে শোনেন। শোনার পর জর্জ পঞ্চম খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান এবং বলেন, এতো প্রশংসা ও দালালি তো ইংল্যান্ডে তাঁর কেউ করেনি, যতটা এই গানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর করেছিলেন। যতটা চামচাগিরী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর করে এই গান রচনা করেছেন ততটা আর কেউ করেনি।

এই জর্জ পঞ্চম নোবেল প্রাইজ কমিটির চ্যেয়ারম্যানও ছিলেন। তিনি যখন ভারত থেকে বিদায় নেন তখন ইংরেজ চাটুকারীতার উপর খুশী হয়ে জর্জ পঞ্চম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নোবেল প্রাইজের জন্য ঘোষণা করে দেন । কেননা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানে জর্জ পঞ্চম প্রভাবিত হয়েছিলেন।

এরপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিপদে পড়ে গেলেন। তিনি ভাবলেন যে গান তিনি ইংরেজদের চামচাগিরি করে লিখেছেন সেই গানের জন্য তাঁকে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হচ্ছে। তখন তিনি ইংরেজ প্রভুদের বললেন, অন্তত আমার উপর এই করুণা করা হোক যে যাতে লোকেদের মধ্যে এই প্রচার করা হয় যে তাকে নোবেল প্রাইজ ‘গীতাঞ্জলি’ লেখার জন্য দেওয়া হচ্ছে। যদিও ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থের কবিতার মধ্যে এমন কোন কাব্যগুন বা দম নেই যার উপর ভিত্তি করে নোবেল প্রাইজ দেওয়া যেতে পারে। ‘গীতাঞ্জলি’র থেকে ভাল কবিতা এই দেশে অন্যান্য কবিদের দ্বারা রচনা করা হয়েছে। এমনকি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘গীতাঞ্জলি’র থেকে ভাল কবিতা অন্যান্য কাব্যগ্রন্থে লিখেছেন। কিন্তু সেগুলিতে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হয়নি।

সুতারাং ভাল কবিতা লেখার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘নোবেল প্রাইজ’ দেওয়া হয়নি। ইংরেজদের চামচাগিরি করার জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

আমার অবাক লাগে যে গানটিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশদের জয়গান গেয়েছেন সেই গানটিই আজ ভারতের জাতীয় সঙ্গীত। ভারত স্বাধীন হলেও এই গানের দ্বারা আমরা বুঝতে পারি যে ব্রিটিশের চামচাগিরি করা এখনো বন্ধ হয়নি। মন মানসিকতায় আমাদের দেশের সংবিধান এখনও ইংরেদের গোলাম। আমাদের দেশে স্বাধীনতা দিবস পালন হয় ইংরেজদের চাটুকারীতার মাধ্যমে। কেননা স্বাধীনতা দিবসে এই গানই গাওয়া হয়। আমরা প্রতিটি পদে এখনো ইংরেজদের গোলামী করছি। কারণ প্রত্যহ সকালে স্কুলে যাওয়ার সময় আমাদের দেশের ছাত্ররা এই গান গেয়ে স্কুলে প্রবেশ করে।

সুতারাং অচিরেই এই গান বাজেয়াপ্ত করা হোক। এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দেশদ্রোহী আখ্যা দেওয়া হোক। আর যদি তা না করা হয় তাহলে আমি বলব আমাদের দেশের শাসকবর্গ এখনো ইংরেজদের গোলাম। পা চাটা দালাল। যারা এই গান গায় তারা দেশদ্রোহী।

দেশ স্বাধীন করে আমরা কি পেলাম? এই দেশদ্রোহী গান? যে গানে আমরা বলি, “হে ভারতের অধিনায়ক জর্জ পঞ্চম তোমার জয় হোক। তুমিই ভারতের ভাগ্যবিধাতা।”

ধিক্কার এই গান রচয়িতার উপর। এবং ধিক্কার সেইসব লোকেদের উপর যারা এই গান গায়। ধিক্কার সেই লোকদের উপর যারা এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গিত বানিয়েছে। এই গানের সত্যতা জানার পর যারা এই গান গায় তারা জানোয়ারের চাইতেও নিকৃষ্ট।

মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম,

বীরভূম, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত
মোবাইলঃ +৯১ ৮৯২৬১৯৯৪১০
Email : md.abdulalim1988@gmail.com

Comments

Popular posts from this blog

তালিবানদের হাতে ইউহান রেডলীর ইসলাম গ্রহন

তসলিমা নাসরিন এবং মুত্রমনাদের গোমর ফাঁস করে ছেড়ে দিলেন ন্যাংটা সাজু

৯/১১ এর হামলার জন্য কি ওসামা বিন লাদেন দায়ী?