Posts

৯/১১ এর হামলার জন্য কি ওসামা বিন লাদেন দায়ী?

লিখেছেনঃ মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম ২০০১ সালের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ধ্বংসের জন্য শায়খ ওসামা বিন লাদেনকে দায়ী করা হয় । বলা হয় পেন্টাগনের এই ধ্বংসকান্ড ওসামা বিন লাদেন ঘটিয়েছেন । কিন্তু আজ পর্যন্ত আমেরিকা কোন প্রমাণ পেশ করতে পারে নি যে ওসামা বিন লাদেনই এই ধ্বংসকান্ড ঘটিয়েছে । ‘দি টাইমস অফ ইন্ডিয়া’ (The Times of India) পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, আমেরিকার ৭৫ জন অধ্যাপক মন্তব্য করেন এই বিস্ফোরণটা ভিরতের কারও কাজ এবং হোয়াইট হাউসের কিছু রাজনীতিবিদদের পরিকল্পনাতেই টুইন-টাওয়ার ধ্বংস করা হয়েছে । আর তাঁদের মতে, এর প্রধান কারণ হল যুদ্ধ করে তেল সমৃদ্ধ দেশগুলির উপর নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা করা । এটা একটা ওপেন সিক্রেট । তাদের মধ্যে জোন নামে একজন অধ্যাপক বলেছেন, আমারা বিশ্বাস করিনা ১৯ জন ছিনতাইকারী আর আফগানিস্তানের কিছু গুহাবাসী এমন একটা পেশাদার কাজ করে বসবে । কোনওভাবে এটা হতে পারে না, তাই আমরা কথা দিচ্ছি আসল সত্যটা অবশ্যই বের করব এবং সকলকে তা জানাব । আমরা সরকারের বানানো কথা বিশ্বাস করিনা । তিনি আরও বলেন, আমরা অধ্যাপক ও বিজ্ঞানী হিসেবে বলছি । আমরা জানি যে লোহার টুইন-টাওয়ারের লোহার বিমগুল

হায়, জেরুজালেম তুমি কার!

Image
গাজীউল হাসান খান   প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর অর্থাৎ ১৯১৭ সালে ‘ ব্যালফোর ঘোষণা ’ অনুযায়ী ফিলিস্তিনি আরব ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনসহ ইহুদিদের একটি পৃথক জাতীয় আবাসভূমি গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তখন ফিলিস্তিনসহ আরব উপদ্বীপের অধিবাসীরা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তেমন একটি অবস্থার মধ্যেই ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইহুদিরা ইসরায়েল নামে একটি রাষ্ট্র গঠন করেছিল। ফিলিস্তিনকে ইহুদিরা ধর্মীয় ও ঐতিহাসিকভাবে তাদের পূর্বপুরুষদের ‘ প্রতিশ্রুত ভূমি ’ হিসেবে উল্লেখ করেছে বারবার। তারা দাবি করেছে যে প্রায় তিন হাজার বছর আগেও সেখানে তাদের একটি রাষ্ট্র ছিল , যার রাজধানী ছিল পবিত্র জেরুজালেমে। কিন্তু খ্রিস্ট জন্মের কিছুটা সময় পর থেকে সেখানে বিভিন্ন প্রশাসনিক কারণে রোম সম্রাটদের খড়্গহস্ত তাদের ওপর নেমে আসে। তখন থেকে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইহুদিদের জীবনযাপন ও পদচারণ কমতে কমতে একসময় তাদের কোনো অস্তিত্বই পরিলক্ষিত হতো না সেভাবে। সে দীর্ঘ সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ইহুদি সাধারণ মানুষকে প্রথমে খ্রিস্ট ধর্ম এবং তার অনেক পরে ইসলাম ধর্মেও দীক্ষিত হতে দেখা গেছে। যেহেতু পৃথিবীর কোথাও ইহুদি ধর্মাব

ইসলামে পুরুষকে চারটা বিয়ের অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে কি নারীদেরকে যৌন ভোগ্যবস্তু হিসাবে উপস্থাপন করা হয়নি?

Image
পৃথিবীতে অনেক ধর্ম আছে। প্রায় শ-খানেক তো হবেই। ইসলাম পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম। পৃথিবীর প্রত্যেক চার জন মানুষের একজন মুসলমান। মাত্র সারে চোদ্দশ’ বছরে এই ধর্ম সারা পৃথিবীজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে। মিডিয়া ও ইসলামের সমালোচকরা এই বলে অপবাদ দেয় যে, ইসলাম নারীদের অধিকার দেয় না, বহু বিবাহ বৈধ করেছে ইত্যাদি। এই বহু বিবাহ নিয়ে কয়েকটি কথা বলা যাক। আল্লাহ তালা বলেন,   "বিবাহ কর নারীদের মধ্য হতে যাকে তোমাদের ভালো লাগে, দুই ,তিন আথবা চারটি।  আর যদি আশঙ্কা কর যে (স্ত্রীদের মাঝে) সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে (মাত্র) একটি (বিবাহ কর)…." (সুরা নিসা ০৩:০৩)   এই আয়াতে বোঝা যাচ্ছে যে কোনো মুসলমান ইচ্ছা করলে একের অধিক বিয়ে (চারের বেশি নয়) করতে পারে। কিন্তু তাতে শর্ত হলো তাকে তার স্ত্রীদের মাঝে সুবিচার অর্থাৎ একাই রকম ভালবাসা, খাদ্য, বস্ত্র দিতে হবে এবং তাদের একের উপর অপরকে প্রাধান্য দেওয়া চলবে না। আর যে একাধিক বিয়ে করতে ইচ্ছুক কিন্তু তার মনে হচ্ছে তার স্ত্রীদের মাঝে সুবিচার বা সমতা রাখতে পারবে না তাহলে তাকে একটি বিয়েতেই সন্তুষ্ট থাকতে বলা হচ্ছে। স্ত্রীদের মাঝে সুবিচার করা নিশ্চয় কঠি

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা রাষ্ট্রীয়সঙ্গীতের স্বরুপ উন্মোচন

Image
মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে রাষ্ট্রীয় সঙ্গীত রচনা করেছেন তা হল ‘জনগনমন’। এই গানটি তিনি ব্রিটিশ শাসক জর্জ পঞ্চমকে উদ্দেশ্য করে রচনা করেছিলেন। এবং তিনি এই গানে ব্রিটিশ শাসক জর্জ পঞ্চমকে ‘ভারত ভাগ্যবিধাতা’ বলে অভিহিত করেছেন। সুতরাং একথায় রবীন্দ্রানাথ ঠাকু্র এই রাষ্ট্রীয় সঙ্গীতে ব্রিটিশদের চাটুকারীতাই বর্ননা করেছেন। তাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন প্রথম শ্রেণীর ইংরেজদের দালাল বা পদলেহী সাহিত্যিক। কারণ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই ‘জনগনমন’ গানটিতে জর্জ পঞ্চমকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “জনগনমন অধিনায়ক জয় হে ভারত ভাগ্যবিধাতা” অর্থাৎ হে ভারতের অধিনায়ক জর্জ পঞ্চম তোমার জয় হোক । তুমিই ভারতের ভাগ্যবিধাতা। এইভাবে পুরো গানটাতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জর্জ পঞ্চমের জয়গান গেয়েই সমাপ্ত করেছেন। একথায় ইংরেজদের জয়গান গেয়ে গানটি রচনা করেছেন। এই গানটি রচনা করার পর জর্জ পঞ্চম যখন এই গানটি শুনলেন তখন তিনি এর অর্থ বুঝতে পারেননি ফলে তিনি এই গানটিকে ইংরেজি অনুবাদ করিয়ে শোনেন। শোনার পর জর্জ পঞ্চম খুশিতে আত্মহারা হয়ে যান এবং বলেন, এতো প্রশংসা ও দালালি তো ইংল্যান্ডে তাঁর কেউ করেনি, যতটা এই গানে রবীন্দ্রন