মানবতাবাদের শত্রু আমেরিকা

মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম

আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সি.আই.এ এর মানবতা লঙ্ঘন
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) পদ্ধতিগত নির্মম ও নিষ্ঠুর জিজ্ঞাসাবাদ-কৌশল নিয়ে বড় বড় সংবাদের শিরোনাম সপ্তাহজুড়ে দেখেছে সারা বিশ্ব । ‘নাইন-ইলেভেনের’ হামলার পর বন্দি সন্দেহভাজন জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদে সিআইএ’র কৌশল ছিল অত্যান্ত ভয়ানক ।

কী ছিলো সিআইএ’র কৌশল? কতটা নির্মম ছিলো তাদের নির্যাতন । গত মঙ্গলবার মার্কিন সিনেটের গোয়েন্দা বিষয়ক কমিটির প্রকাশ করা এক সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে তার ভয়াবহতা । প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের শাসনামলে ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত একটি কর্মসূচী চালু করে সিআইএ । এই কর্মসূচি অভ্যন্তরীণভাবে ‘রেনডিশন, ডিটেনশন অ্যান্ড ইন্টারোগেশন’ বলে অভিহিত ছিলো । এই কর্মসূচীর আওতায় সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদে ব্যবহার করা হতো নিষ্ঠুর পদ্ধতি ।
সন্দেহভাজন আল-কায়েদা সদস্যদের কাছ থেকে তথ্য বের করার জন্য তাদেরকে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে গোপন জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রগুলোতে রাখতো সিআইএ । তাদের জেরার সময় ঘুমোতে দেয়া হতো না । কোন কোন বন্দিকে ১৮০ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমোতে দেয়া হয়নি । মুখে কাপড় চেপে ধরে পানি ঢালা হতো মৃত্যুর মতা কষ্ট অনুভব করনোর জন্য । বন্দিদের ভাঙ্গা পায়ের ওপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হতো । তাদের রাখা হতো পুরোপুরি অন্ধকারে ।

কখনো কখনো তাদের হাত মাথার উপর শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো । ঠাণ্ডা মেঝেতে নগ্ন করে বসিয়ে রাখা হতো । গালিগালাজ করা হতো অশ্রাব্য ভাষায় । বন্দিদের মলদ্বার দিয়ে জোর করে খাবার প্রবেশ করানো হতো । শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি বন্দিদের মানসিক নির্যাতনও করা হতো । ভয় দেখানো হতো ‘লটারিতে যার নাম উঠবে তাকে মেরে ফেলা হবে’ বলে । একজনকে যৌন নির্যাতন করা হয়, এমনকি বন্দিদের সন্তানদেরও হুমকি দেয়া হতো । ঠাণ্ডা মেঝেতে নগ্ন অবস্থায় জোর করে দীর্ঘ সময় বসিয়ে রাখায় এক বন্দি হাইপোথারমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান ।

২০০২ সালের এপ্রিলে সিআইএ বন্দিদের রাখার জন্য গোপন একটি কারাগার নির্মাণ করা হয়। যেটাকে ‘ডিটেনশন সাইট কোবাল্ট’ নামে ডাকা হতো । ওই কারাগারটি ঠিক কোথায় ছিলো তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি । ওই কারাগারে ২০টি কক্ষ ছিলো যেগুলোতে কোন জানালা ছিলো না । বন্দিদের পুরোপুরি অন্ধকারে রাখা হতো । ঘন অন্ধকারে একাকী বন্দিকে দীর্ঘ সময় ধরে শেকল দিয়ে হাত মাথার উপর বেঁধে প্রচণ্ড জোরে গান ছেড়ে রাখা হতো । মলমূত্র ত্যাগ করার জন্য ওই কক্ষে একটি ঝুড়ি ছাড়া আর কিছু দেয়া হতো না । এ ধরনের নির্যাতন অনেককে সারাজীবনের জন্য অসুস্থ করে দিয়েছে ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নাইন-ইলেভেন সন্ত্রাসী হামলার পর তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ সন্দেহভাজন আল-কায়েদা সদস্যদের আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন । যদিও ২০০৬ সালের এপ্রিলের আগ পর্যন্ত সিআইএ’র কোন কর্মকর্তা তাদের এই নিষ্ঠুর জেরা প্রক্রিয়ার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে কিছু জানাননি । এমনকি হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তিরাও সিআইএ’র নির্যাতনের ব্যাপারে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরের আগে কিছু জানতে পারেনি । পরবর্তীতে বারাক ওবামা ২০০৯ সালে এই কর্মসূচী বন্ধ করে দেন । তবে বুশের সময়কার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি গত বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাত্কারে দাবি করেন, সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল সম্পর্কে সব কিছুই জানতেন জর্জ ডব্লিউ বুশ । আর বুশ নিজেও সিআইএকে সমর্থন করেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলা হয়েছে ।

এসব তথ্য প্রকাশের  পর সিআইএ মানবাধিকার  লঙ্ঘনের বিষয়টি বিশ্ববিবেক নাড়া দিয়েছে । তবে তথ্য প্রকাশের পর আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন গোয়েন্দা সংস্থাটির পরিচালক । টেলিভিশনে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে সিআইএ’র পরিচালক জন ব্রেনান স্বীকার করেছেন যে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের কিছু পদ্ধতি জঘন্য ছিল । এই স্বীকারোক্তির পর সিআইএ বস আরো বেকায়দায় পড়ে গেছেন । গোটা বিশ্ব থেকে তো বটে, নিজ দেশ থেকেও চরম সমালোচনার মুখোমুখি তিনি । তাদের অভিমত, সিআইএ একই কায়দায় সব সময় নির্যাতন চালিয়ে থাকে । তবে হামলা প্রতিহত করতে ও মানুষের জীবন রক্ষায় জিজ্ঞাসাবাদের মূল্যবান তথ্য কাজে এসেছে বলে দাবি করেছেন তিনি । তবে সিআইএ প্রধানের বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন সিনেটের সংশ্লিষ্ট কমিটির চেয়ারম্যান ডায়ানে ফেইনস্টেইন । তার মতে, নির্যাতনের এসব কৌশল কোন কাজে লাগেনি । বরং যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন করেছে । আর প্রেসিডেন্ট ওবামা এক বিবৃতিতে বলেছেন, তার মেয়াদে জিজ্ঞাসাবাদের কৌশল আর ব্যবহার করতে দেয়া হবে না । প্রতিবেদন প্রকাশের পর বর্বরোচিত এই নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত মার্কিন প্রশাসন ও সিআইএ কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেছে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ।

জেনেভা থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ দূত বেন এমারসন বলেছেন, জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রশাসনের যেসব জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ নির্যাতনের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নিতে হবে । নির্যাতনের ঘটনায় কেবল সিআইএ নয়, যুক্তরাষ্ট্র সরকারও দায়ী । আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র দায়ীদের বিচার করতে বাধ্য । মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নির্বাহী পরিচালক কেনেথ রোথ বলেছেন, সিআইএ’র এই ঘটনা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড । এটি কোনভাবেই ন্যায্যতা পেতে পারে না ।

আল জাজিরার অনলাইলে প্রকাশিত এক মন্তব্যে বলা হয়, এসব সন্দেহভাজন জঙ্গিদের মানব গিনিপিগে পরিণত করা হয়েছে । সিআইএ’র নির্যাতন মানুষের মৌলিক অধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে অপরাধ । মোট ছয় হাজার ৭শ’ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে ১১৯ সন্দেহভাজনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদের বর্ণনা দেয়া হয়েছে । এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আশা করছে, মূল প্রতিবেদনটি দ্রুত প্রকাশ করা হবে । একইসঙ্গে সিনেট কমিটির উচিত হবে মার্কিন মানবাধিকার ও নির্যাতনের অপরাধের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা ।

এখন পর্যন্ত কাউকে নির্যাতনের অপরাধে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি । এমনকি দায়ীদের বিচারের বিষয়ে কোন অঙ্গীকারও করা হয়নি । এই জবাবদিহিতার শূন্যতা যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক আইনের উল্টোপথে নিয়ে গেছে । অতীতে ও বর্তমানে প্রশাসন ও এজেন্সির যে পদেই দায়ীরা থাকুন কেন তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে । একইসঙ্গে সিআইএ’র অপরাধ সংগঠনে অন্য কোন দেশ সহায়তা করলে তাদেরকেও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে । গত ১০ ডিসেম্বর ছিলো ‘কনভেনশন এগেইনিস্ট টর্চার’ গৃহিত হওয়ার ৩০তম বার্ষিকী । ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি অনুসমর্থন করে । এই অবস্থায় প্রেসিডেন্ট ওবামার উচিত দায়ীদের দায়মুক্তি না দেয়ার ঘোষণা দেয়া । একইসঙ্গে ভিকটিমদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত যাতে করে তারা ট্রমা (মানসিক আঘাতের ফলে সৃষ্ট স্নায়ুরোগ) কাটিয়ে উঠতে পারে । সন্দেহভাজনরা যদি অপরাধী হয় তবে তাদেরকে অবশ্যই বিচার করে শাস্তি দিতে হবে । কিন্তু এসব ভিকটিম ন্যায় বিচার পাওয়ারও দাবি রাখে ।

¢g¢m¢Ù¹­e Cýc£ p¿»¡p
        HC hRlC ¢g¢m¢Ù¹e i¨M­ä Cýc£ p¿»¡ph¡c£l¡ j¤pmj¡e­cl Efl ¢ejÑj qaÉ¡L¡ä öl¦ L­l z HC Cýc£ S¢‰l¡ l­LV J L¡j¡­el ­N¡m¡ hoÑe L­l j¤pmj¡e­cl Efl z g­m fË¡u 3 q¡S¡l ¢el£q j¤pmj¡e j¡l¡ k¡e z a¡­cl ¢hj¡e ­b­L ­hf­l¡u¡ ­N¡m¡ hoÑ­e dÆwpÙ¹¥­f f¢lZa qu f¤­l¡ N¡S¡ nql z N¡S¡l Ešl¡’m H­Lh¡­lC j¡ehn§eÉ q­u f­s z Hhw HC 140 hNÑ¢L­m¡¢jV¡­ll N¡S¡ H­Lh¡­l hph¡­pl A­k¡NÉ q­u f­s z

HC ¢g¢m¢Ù¹­e 28 ¢c­el j­dÉ CSl¡C¢m Cýc£­cl q¡e¡u fË¡u 2 q¡S¡l ¢g¢m¢Ù¹e£l jªaÉ¥ q­u­R z Hl j­dÉ 400 ¢nö, 300 j¢qm¡, huú j¡e¤o 100 L¡R¡L¡¢R z HC ¢g¢m¢Ù¹­e 28 ¢c­el j­dÉ CSl¡C¢m Cýc£­cl q¡e¡u fË¡u 2 q¡S¡l ¢g¢m¢Ù¹e£l jªaÉ¥ q­u­R z Hl j­dÉ 400 ¢nö, 300 j¢qm¡, huú j¡e¤o 100 L¡R¡L¡¢R z Cýc£­cl Bœ²j­Z L­uL q¡S¡l Bh¡pe, jp¢Sc, h¡S¡l, ¢nöœ¡Z ¢n¢hl, ¢hcÉ¥v J Sm plhl¡q hÉhÙÛ¡ dÆwp q­u­R z 134 V¡ L¡lM¡e¡ dÆwp q­u­R z 30 q¡S¡l j¡e¤o LjÑq£e q­u f­s­R z HC ¢qwpË hhÑl, Cýc£ S¢‰­cl Bœ²j­Z ¢g¢m¢Ù¹­el N¡S¡u ¢hcÉ¥v ­eC, f¡e£u Sm ­eC, Jo¤dfœ ­eC, ¢nö­cl M¡cÉ ­eC, BnËu ­eC z N¡S¡ nql öd¤ dÆwpÙ¹¥f, Bl öd¤ h¡l¦­cl Nå z ¢g¢m¢Ù¹­el N¡S¡­L HMe ¢h­nÄl EeÈ¥š² L¡l¡N¡l J Lp¡CM¡e¡ h­m f¢ÕQj¡ pj¡­m¡QLl¡ h­m­Re z HC Cýc£ p¿»¡ph¡c£­cl qaÉ¡L¡­ä 77 na¡wpC e¡l£ J ¢nö j¡l¡ ­N­R z

        HC CSl¡Cm l¡­øÊl kMe SeÈ qu aMe HC ¢g¢m¢Ù¹¢e­cl ­cnQÉ¥a L­lC B­j¢lL¡l S¡lS ­cn CS¡l¡C­ml SeÈ qu z Hhw ­pC ­b­L B­j¢lL¡ 12 q¡S¡l 500 ­L¡¢V Xm¡l j§­mÉl AÙ»nÙ» ¢c­u­R, k¡l phV¡C hÉhq©a q­u­R ¢g¢m¢Ù¹­el j¤pmj¡e­cl j¡l¡l SeÉ z Bl HC AÙ» ¢c­uC 1982 p¡­m CSl¡Cm ­mh¡ee Bœ²jZ L­l 19 q¡S¡l ¢g¢m¢Ù¹¢e j¤pmj¡e­L qaÉ¡ L­l z n¡¢am¡ Eà¡Ù¹¥ ¢n¢h­l ¢ae q¡S¡l ¢elÙ» J Ap¡j¢lL ¢g¢m¢Ù¹¢e j¤pmj¡e­L qaÉ¡ L­l HC j¡¢LÑe AÙ» ¢c­uC z ­pM¡­e R¢s­u b¡L¡ ­V¡V¡l ­M¡­m Made in USA R¡f z Hje¢L ­k h¤m­X¡S¡l ¢c­u JC NZLhlÙÛ¡­e hhÑla¡ Bs¡m Ll¡l ­Qø¡ qu, a¡J j¡¢LÑe z ¢g¢m¢Ù¹¢e­cl qaÉ¡L¡l£ Cýc£­cl q­mJ a¡­cl ­R¡ys¡ fË¢a¢V h¤­mV, fË¢a¢V jVÑ¡p ­pm, fË¢a¢V ­rfZ¡Ù», fË¢a¢V VÉ¡wL B­j¢lL¡l °al£ z a¡C CSl¡C­ml Cýc£l¡ ka qaÉ¡L¡ä L­l­R a¡­a CSl¡C­ml j­a¡ B­j¢lL¡J pj¡ei¡­h c¡¢u z L¡lZ HC qaÉ¡L¡­ä B­j¢lL¡ CSl¡Cm­L pÇf¨ZÑi¡­h p¡q¡kÉ L­l z

অমুসলিমরাই সর্বপ্রথম সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিল

        পৃথিবীতে সর্বপ্রথম অমুসলিমরাই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ শুরু করেছিল মহাত্মা গান্ধীকে খুন করেছিল আর.এস.এস এর নাথুরাম গডসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কনকে খুন করেছিল আমেরিকারঅ অভিনেতা উইলকিস বুথ থিয়েটারে নাটক দেখার সময় তাকে হত্যা করা হয় আমেরিকার রাষ্ট্রপ্রধান জন এফ কেনেডিকে মোটর সাইকেলে চেপে যাওয়ার সময় তাঁকে খুন করে হারভি অসোয়াল্ড ১৮৯৮ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট সারি কামোটকে সান্টে ক্যাসারিও নামে একজন ইতালীয় পর্যটক খুন করে এছাড়াও ১৮৯৮ সালে অস্ট্রিয়ারঘ যুবরানি এলিযাবেথ, ১৯০১ সালে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাককিনলে, ১৯১৩ সালে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিসকো মাদেরো, ১৯১৫ সালে রাশিয়ার ধর্মগুরু রাসপুতিন, ১৯২০ সালে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ভেনুসতিয়ানো কারাঞ্জা, ১৯৩২ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট পল ডেমার অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর এঞ্জেলবার্ট ডালফাসকে নাৎসীদের দ্বারা, ১৯৪০ সালে লিও ট্রটস্কিকে মাথায় হাতুড়ি মেরে, ১৯৫৬ সালে নিকারাগুয়ার প্রেসিডেন্ট অ্যান্টসিও সোমাজা ১৯৫৭ সালে গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট কার্লোস আরমাস, ১৯৫৯ সালে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী সলোমন বন্দরনায়েক, ১৯৬৬ সালে দক্ষিন আফ্রিকার প্রধানমন্ত্রী হেনড্রিক ডারউডকে, ১৯৬৮ সালে জুনিয়ার মার্টিন লুথার কিংকে, এই বছরই প্রয়াত জন এফ কেনেডির ভাই রবার্ট কেনেডিকে, ১৯৭১ সালে জর্ডনের প্রধানমন্ত্রী ওয়াসফি তাইকে খুন করা হয়

        ১৯৭৫ সালে মাডাগাসকারের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড রাটসিমানডাভাকে, ১৯৮৯ সালে লর্ড মাউন্টব্যাটেন, ১৯৮০ সালে লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম টলবার্ট, ১৯৮৩ সালে ফিলিপিন্সের বিরোধী নেতা বেনীগনো অ্যাকুইনোকে ম্যানিলা বিমানবন্দরে খুন করা হয় ১৯৮৪ সালের ৩১শে অক্টোবর রুশ পরিচালক পিটার উস্তিনভের এক তথ্যচিত্রে সাক্ষাৎকারের জন্য যাচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী তাঁরই দেহরক্ষী সতবন্ত সিং ও বিয়ন্ত সিং হঠাৎ স্টেনগান চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দেয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর দেহ তারঁ পরে স্বীকার কর স্বর্ণমন্দিরে অপারেশান ব্লুস্টার অভিযান চালানোর অপরাধে তারা ইন্দিরা গান্ধীকে খুন করেছে

        ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে তামিলনাড়ুতে পেরুমবুদুরে এল টি টি ই জঙ্গীরা হত্যা করে অভ্যর্থনা জানানোর বাহানায় এল টি টি ই মহিলা জঙ্গী নিজের দেহে রাখা বিস্ফোরক ফাটিয়ে রাজীব গান্ধীর দেহ ছিন্ন ভিন্ন করে দেয় পরে তাঁর পায়ের পাতা দেখে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়ঁ পরে জানা যায় ওই আত্মঘাতি মহিলাটির নাম ধানু

       ১৯৮৬ সালে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ওলফ পামে আততায়ীর হাতে ১৯৭৩ সালে চিলির রাষ্ট্রপ্রধান সালভাদোর আলেন্দেকে, ১৯৮৯ সালে লেবাননের প্রেসিডেন্ট রেনে মোয়াওয়ারকে খুন করা হয়

       ১৯৯৫ সালের ৪ নভেম্বর ইজরাইলের প্রেসিডেন্ট ইঝতাক রাবিনকে, ১৯৯৬ সালে বুলগেরিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই লুকানভকে, ১৯৯৯ সালে প্যারাগুয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট লুই মারিয়া আরগানাকে, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ভাজগেন, ২০০০ সালে সার্বিয়ার আধাসামরিক বাহিনীর প্রধান জেজিকা রাজনাজতভিচকে, ২০০১ সালে কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট লরেন্ট কাবিলা, এই বছরেই নেপালের রাজা বীরেন্দ্র সপরিবারে খুন হন

       উপরে যাঁদের নাম আমি উল্লেখ করলাম তাঁরা সকলেই সন্ত্রাসবাদীদের হাতেই খুন হয়েছেন আর এই সন্ত্রাসবাদীরা কেউ মুসলমান ছিলেন না সকলেই অমুসলমান ছিলেন তাঁরা কেউ মাদ্রাসায় শিক্ষা অর্জন করেন নি সকলেই স্কুল কলেজে পড়া উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন .........

       এছাড়াও ১৮৮১ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটাসবার্গের রাস্তায় দ্বিতীয় আলেকজান্ডাকে হত্যা করা হয়েছিল তিনি বুলেট প্রুফ গাড়িতে ঘুরছিলেন বোমা বিস্ফোরণ করে হত্যা করেছিল ইগনেসি এই ইগনেসি মুসলমান ছিল না

      ১৮৮৬ সালে শিকাগো শহরে হে মার্কেট স্কোয়ারে শ্রমিকদের মিছিলের মধ্যে ৮ জন অমুসলিম বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ১২ জন নিরীহ মানুষ ও ৭ জন পুলিশ একজন পু্লিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করে জেমস ও জোসেফ নামে দুইজন খ্রীষ্টান ১৯১০ সালের ১ অক্টোবর লস এঞ্জেলস নিউজ পেপার ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ২১ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছিল অমুসলিম সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ১৯২৫ সালের ১৬ই এপ্রিল বুলগেরিয়ার রাজধানী সোফিয়ার সেইন্ট ন্যাডেলিয়ার চার্চের মধ্যে ১৫০ জনকে হত্যা করে এই হামলায় ৫০০ জনেরও বেশী্ লোক আহত হয়েছিল

        ১৯২৫ সালে ১৯শে এপ্রিল টিমোথি ও টেরি নামে দুইজন খ্রীষ্টান বোমাভর্তি একটা ট্রাক নিয়ে ওকলাহোমার ফেডারেল ভবনে আঘাত করে বিস্ফোরণ ঘটায় ফলে ১৬৬ জন মারা যায় ও আহত হয় কয়েকশো জন প্রথমে এই বিস্ফোরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমানকে দায়ী করা হয় কিন্তু পরে প্রমাণ হয় এই বিস্ফোরণের জন্য দায়ী টিমোথি ও টেরি নামে দুইজন ডানপন্থি খ্রীষ্টান

      এছাড়াও ইজরাইলের প্রধানমন্ত্রী মেনাফেম বেগান এর নেতৃত্বে ইরগুন ১৯৪৬ সালের ২২শে জুলাই কিং ডেভিড হোটেলে বিস্ফোরণ ঘটায় ফলে ২৮ জন ব্রিটিশ, ৪১ জন আরব, ১৭ জন ইহুদী মারা যায় ইরগুন আরবীয়দের মতো পোষাক পরেছিল যাতে মানুষ বুঝতে পারে আরবরাই এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সেই সময় ব্রিটিশরা মেনাফেম বেগানকে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করে এর মেনাফেম বেগান কয়েকবছর পর ইজরাইলের প্রধানমন্ত্রী হন এবং তারপর ব্রিটিশদের নিকট সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদীকে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় মনে হয় বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্যই তাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় সুতরাং ব্রিটিশদের নিকট বিস্ফোরণকারীরাও শান্তির জন্য নোবেল প্রাইজ পায় তাহলে তাদের নিকট শান্তিকামী কারা?......

      ইতালীর রেগব্রিগেড ১৯৭৪ সালে অমুসলিম সন্ত্রাবাদীরা গিলফোর্ড বারে দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সেই্ বিস্ফোরণে ৫ জন নিহত ও ৪৪ জন আহত হন বার্মিংহোম বারে বিস্ফোরণ করে তারা ২১ জনকে হত্যা ও ১৮২ জনকে আহত করে এই বিলগ্রেড ১৯৯৬ সালে লণ্ডনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ২ জনকে হত্যা ও ২০৬ জনকে আহত করে ১৯৯৮ সালে ৫০০ পাউন্ড ওজনের একটি বোমা ফাটিয়ে ৩৫ জনকে আহত করে এবং সেই বছরেই ৫০০ পাউন্ড ওজনের আর একটি বোমা ফাটিয়ে ২৯ জনকে হত্যা ও ৩৩অ জন ব্যাক্তিকে আহত করে এরা কেও মুসলমান ছিল না, সকলেই অমুসলিম ছিল

      স্পেনের সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ই টি এ যারা এ পর্যন্ত ৩৬টি সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ চালিয়েছে, আফ্রিকার লর্ডস্ সালভেশন আর্মি যারা শিশুদেরকে সন্ত্রাসবাদী আক্রমমের প্রশিক্ষন দেয়, শ্রীলঙ্কার এল টি ই, তামিল টাইগার্স, শিখ সন্ত্রাসীদের ভিন্দ্রানোয়ালা গ্রুপ, ত্রিপুরার এ টি টি এফ (অল ত্রিপুরা টাইগার্স ফোর্স), এন এল টি এফ (ন্যাশানাল লিবারেশান ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা) যারা ২০০৪ সালের ২ অক্টোবর মাসে ৪৪ জন নিরীহ হিন্দুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে, আসামের উলফা নামে সন্ত্রাসী সংগঠন ১৯৯০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই ১৬ বছরে ৭৪৯টি ভারতের মাটিতে আক্রমণ চালায়, নেপালের মাওবাদীরা ৯৯টি সন্ত্রাসবাদী আক্রমণ চালিয়েছে আর ভারতে ৬০০টি জেলায় ১৫০টি আক্রমণ চালিয়েছে, স্তালিন ২ কোটি মানুষকে হত্যা করেছে এবং তার নির্দেশে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ মানু্ষ অনাহারে মারা গেছে অশোক কলিঙ্গের যুদ্ধে ১ লক্ষের বেশী মানুষকে হত্যা করে মুসোলিনী ইতালিতে ৪ লক্ষ নিরীহ মানুষকে হত্যা করে ইন্দোনেশিয়ার জেনারেল সুহার্তা প্রায় ৫ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে

      জর্জ বুশের কারণে ইরাকে ৫০,০০০ শিশু মারা গেছে এবং ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রপতি হুগো শ্যাভেজ বলেছেন, “পৃথিবীরৃ সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হল জর্জ বুশ ” ইংল্যান্ডের সাংসদ জর্জ গ্যালওয়ে বলেন, “জর্জ বুশ ও টনি ব্লেয়ার এই দুইজনের হাতে যত পরিমান রক্ত আছে তার চেয়ে অনেক কম মানুষের রক্ত রয়েছে লন্ডনে বোমা বিস্ফোরণকারীদের হাতে ” তিনি আরও বলেন, “কোনও আত্মঘাতী হাম্লাকারী যদি ব্লেয়ারকে মেরে ফেলে এবং এতে যদি কোনও নিরীহ মানুষ মারা যায় তাহলে এতে কোন অপরাধ হবে না ” পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জ্যাতি বসু বলেন, “এক নম্বর সন্ত্রাসী হল বুশ ” নোবেলজয়ী বেটী উইলিয়াম বলেছেন, “বুশকে খুন করতে তার ভালোই লাগবে

    খ্রীষ্টান চার্চের নির্দেশে ১৫৫৩ সালে কুরআন পড়ার অপরাধে স্পেনের ৪২ বয়স্ক বিজ্ঞানী ও চিকিৎসাবিদ মাইকেল সার্ভটাসকে জেনেভায় একটি কাঠের খুঁটিতে বেঁধে হত্যা করা হয় এই বিজ্ঞানী খ্রীষ্টান ধর্মের তিন ঈশ্বরের নীতিকে আপত্তি জানিয়েছিলেন মানবদেহে রক্ত সঞ্চালনের সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য এবং মুসলিম বিজ্ঞানীদের লেখা কিছু বইয়ের ল্যাটিন অনুবাদ রাখার অপরাধে তাকে চার্চ উক্ত শাস্তি দেয়

বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসবাদী হল আমেরিকা

আমেরিকা বহু সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত এই আমেরিকা চিলিতে সালভেদোর অ্যালেন্দেকে খুন করেছে, সন্ত্রাসবাদী স্বৈরাচারী পিনোচেতকে মদত জুগিয়েছে কঙ্গোর প্যাট্রিস লুমুম্বাকে সন্ত্রাসবাদী কায়দায় খুন করেছে, ইন্দোনেশিয়ায় স্বৈরাচারী শাসক সুহার্তোকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন করে লক্ষ লক্ষ কমিউনিষ্টকে নিধন করেছে, সন্ত্রাসবাদী খুনি শাসক জাইরের মাবতুকে উৎসাহ জুগিয়েছে, কিউবার ফিদেল কাস্ত্রোকে, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাতকে লিবিয়ার গদ্দাফিকে হত্যা করার জন্য ভাড়াটে ঘাতক লাগিয়েছে আর এই সব কাজ করেছে আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সি. আই. এ বরাবরই আমেরিকাই সন্ত্রাসবাসীদের মদত জুগিয়েছে ভিন্নভাবে আমেরিকাই Project X প্রকল্প তৈরী করেছিল বিভিন্ন দেশে পেশাদার খুনি ও ব্ল্যাকমেলারদের তৈরী করার জন্য আমেরিকাই School of America নামে রয়েছে সন্ত্রাসবাদী তৈরীর কারখানা এল. সালভেদরের ডেথ স্কোয়াডের নেতা জেনারেল রবার্টো এই School of America এর ছাত্র পানামার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এক সময় আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সি. আই. এ-র (CIA/Central Investigation Agency) এজেন্ট ছিলেন কিন্তু এখন আমেরিকার সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার জন্য তিনি এখন আমেরিকার জেলে বন্দি আমেরিকার বন্ধু হল, আফ্রিকার বর্ণবিদ্বেষী সন্ত্রাসবাদী শাসক পি. ডব্লু. বোথা, সন্ত্রাসবাদী জেনারেল ম্যানুয়েল নরিয়েগা, নিকোরাগোয়ার সন্ত্রাসবাদী স্বৈরাচারী ডিক্টেটর মোসাজা, ফিজির শাসক রাবুকা, ফিলিপিন্স এর মার্কোস, নাইজেরিয়ার সন্ত্রাসবাদী শাসক জেনারেল ডো, গুয়েতমালার সেরেজা এইসব সন্ত্রাসবাদীরা আমেরিকার স্নেহধন্য আমেরিকাই ভিয়েতনামে নাপাম বোমা ফেলে হাজার হাজার ঘর জ্বালিয়েছে, নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে কোরিয়াতে জীবানু বোমা আক্রমণ চালিয়েছে জাপানের হিরোসিমা-নাগাসিকিতে বোমা ফেলে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে এখনও জাপানে পঙ্গু সন্তান জন্ম হয় সেই বোমার প্রতিক্রিয়ায় আমেরিকাই নিকারাগুয়ায় কন্ট্রোদের মদত দিয়ে সেখানকার গণতন্ত্রপ্রেমীদের হত্যা করেছে আমেরিকার গোয়েন্দো সংস্থা সি. আই. এ-র (CIA/Central Investigation Agency) ১৬১ থেকে ১৯৬৫ সালের মধ্যে ৮ বার ফিদেল কাস্ত্রোকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে সাদ্দামকে দমন করার নামে জর্জ বুশের বাবা সিনিয়ার জর্জ বুশ ইরাকে হাজার হাজার নিরপরাধ নারী শিশুকে হত্যা করেছে নিরপরাধ তালিবানদের দমন করার নামে আফগানিস্তানে যে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ করেছে সেগুলোর জবাব দেবে কে ?


মুহাম্মাদ আব্দুল আলিম

শালজোড়, বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ


Comments

Popular posts from this blog

তালিবানদের হাতে ইউহান রেডলীর ইসলাম গ্রহন

তসলিমা নাসরিন এবং মুত্রমনাদের গোমর ফাঁস করে ছেড়ে দিলেন ন্যাংটা সাজু

৯/১১ এর হামলার জন্য কি ওসামা বিন লাদেন দায়ী?